দরকার হলে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট অডিট বন্ধ থাকবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

আমাদের অটোমেটেড করতেই হবে’ উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত ডিজিটাল সিস্টেম করতে না পারব, ততদিন ম্যানুয়াল ভ্যাট অডিট বন্ধ থাকবে। দরকার হলে কেয়ামত পর্যন্ত অডিট বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যেন কোনোভাবেই মনে না করেন, অহেতুক হয়রানি করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার গুলশানের এক হোটেলে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত কর ও ভ্যাট সংস্কারবিষয়ক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সংলাপ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা একটি একক ভ্যাট হার নির্ধারণ করতে চাই। কিন্তু এতে ব্যবসায়ীরাই বাধা হয়ে দাঁড়ান। এখন ভ্যাট দিতে কারও কাছে যেতে হয় না। এক ক্লিকেই নিজের সিস্টেম থেকে ভ্যাট দেওয়া যায়।’

করছাড় নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ‘কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশি–বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আমরা কর ছাড় দিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। কিন্তু দেখা যায়, আট বছরের জন্য করছাড়ের কথা হলেও ৪০ বছর পর্যন্ত সেই ছাড় চলতে থাকে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা আছে, যেটা স্বীকার করে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’ তাঁর মতে, বিদেশি ঋণের বোঝা অনেক বেড়েছে।

রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি, নীতিসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতেই ৯০ শতাংশ সময় চলে যায়। তাহলে রাজস্ব আদায়ের সময় দেবে কীভাবে? তাই রাজস্ব খাত দুটি বিভাগে আলাদা করছি। একজনের জায়গায় দুজন কাজ করলে আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’

ন্যূনতম করহারের বিধানকে কালাকানুন আখ্যা দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভবিষ্যতে এসব উঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন করতে গেলে রাজস্ব আদায় অনেক কমে যাবে। তাই এসব ন্যূনতম কর শৃঙ্খলায় এলে এখানে হাত দেওয়া যাবে।
সংলাপে ব্যবসায়ী নেতা, উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *