এই সম্পদ বিবরণী ফরমে তিনটি অংশ রয়েছে: ক- সাধারণ তথ্যাবলি, খ- সম্পদ (১. স্থাবর ও ২. অস্থাবর), এবং গ- দায়।
ফরম পূরণের আগে এই প্রতিবেদনটি একবার পড়ে নিলে কী কী তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, তা জানা সহজ হবে।বিশেষ করে রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র সঙ্গে থাকলে আরও সুবিধা হবে।
ক-অংশে সাধারণ তথ্যাবলিতে নিজের নাম, পদবি, পরিচিতি নম্বর, বর্তমান কর্মস্থল, চাকরিতে যোগদানের তারিখ, যোগদানকালের পদবি, এনআইডি, টিআইএন, বেতন স্কেল, মূল বেতন, মোবাইল নম্বর ইমেইল ও বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।
এর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের (স্ত্রী/স্বামী/সন্তান) বিবরণ দিতে হবে। তাদের নাম, জন্ম তারিখ, এনআইডি, জন্মনিবন্ধন ও টিআইএন দিতে হবে।কর্মরত হলে পদবি ও অফিসের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
খ-অংশের সরকারি কর্মচারী নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে অর্জিত সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে জমি (কৃষি ও অকৃষি), ইমারত, বসতবাড়ি, ফ্ল্যাট, খামার/বাগানবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সম্পদ থাকলে সেই বিবরণ দিতে হবে। জমির মৌজা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও হোল্ডিং নম্বরও উল্লেখ করতে হবে।
অর্জনের ধরন যেমন উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান, অন্যান্য বা যৌথ মালিকানা উল্লেখ করতে হবে। এসব সম্পদ যার নামে অর্জিত তার নাম, অর্জনের তারিখ ও অর্জন মূল্য উল্লেখ করতে হবে। ক্রয় হলে অর্থের উৎসও উল্লেখ করতে হবে।
আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে অলংকারাদি, স্টকস, শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড, সিকিউরিটিজ, সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড, সঞ্চয় স্কিম, বিমা, নগদ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ঋণ প্রদানকৃত অর্থ, এফডিআর, ডিপিএস, জিপিএফ, সিপিএফ, মোটরযান (ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক), ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য সম্পদের বিবরণ দিতে হবে।
এসব সম্পদ যার নামে অর্জিত তার নাম, সম্পদের বিবরণ দিতে হবে।অর্জনের ধরন যেমন উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা অন্যান্য উল্লেখ করতে হবে। অর্জন মূল্য বা স্থিতি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অর্থের উৎসও উল্লেখ করতে হবে।
গ-অংশে সরকারি কর্মচারী নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে সব দায়ের তথ্য উল্লেখ করবেন। এর মধ্যে যার নামে ঋণ গৃহীত হয়েছে তার নাম, ঋণদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঋণের ধরন যেমন গৃহনির্মাণ, কম্পিউটার, মোটরযান বা অন্যান্য উল্লেখ করতে হবে। ঋণ গ্রহণের তারিখ, ঋণের পরিমাণ ও অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণও উল্লেখ করতে হবে।
যেভাবে যার কাছে হিসাব দাখিল করতে হবে
ক্যাডার/প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা (নবম গ্রেড এবং এর ওপরের) তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তার সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময় দাখিল করবেন।
দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড/নন-গেজেটেড কর্মকর্তারা (দশম গ্রেড) নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময়ে দাখিল করবেন।
মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর অধীনস্ত সরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানের গ্রেড-১১ হতে গ্রেড-২০ পর্যন্ত কর্মচারীরা তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পদ বিবরণী নির্ধারিত সময়ে দাখিল করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণের নির্দেশাবলি
সম্পদ বিবরণী ফরম হাতে বা কম্পিউটার কম্পোজ করে পূরণ করা যাবে। ফরমে প্রদত্ত স্থান সংকুলান না হলে ফরমের কাঠামো ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পৃষ্ঠা সংযোজন করা যাবে। যৌথ মালিকানায় অর্জিত সম্পদ ও দায় এর ক্ষেত্রে অংশ মোতাবেক প্রাপ্য সম্পদের পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করতে হবে। সরকারি কর্মচারীর সন্তান/সন্তানাদি সরকারি কর্মচারীর উপর নির্ভরশীল না হলে তার/তাদের সম্পদ এই বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হবে না।