উপজেলা ব্যবসায়ীদের করজালে আনার সুপারিশ

জেলা প্রশাসকেরা উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের করজালের আওতায় আনার সুপারিশ করেছেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব ব্যবসায়ী চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগিরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসব এলাকায় কর পরিদর্শক পাঠিয়ে তাঁদের করের আওতায় আনবে।অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

করজাল বৃদ্ধি করতে জোর দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য করের হার বৃদ্ধি করা উচিত নয়।’ তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকরা যখন তাদের ফি নগদে নেন, তখন তাদের রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। পাশাপাশি, ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে (এমএফএস) চিকিৎসকের ফি প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, গ্রাম এলাকায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর যোগাযোগ তৈরি করতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘চীনের প্রত্যন্ত গ্রামে বানানো জিনিসপত্র ওয়ালমার্টে বিক্রি হচ্ছে। আমি একবার ফিলিপাইনের এক গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানকার এক নারী উদ্যোক্তা জানান, তিনি সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তাঁর ক্রেতার সঙ্গে বৈঠক করতে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে অনেক মানুষের করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও তারা করজালের বাইরে থাকেন। দেশে কর ফাঁকি বা কর এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এছাড়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করজাল বৃদ্ধির চেয়ে কর হার বাড়িয়ে আদায় বৃদ্ধির চেষ্টা করে, এবং নিয়মিত করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *