ভ্যাটের পর এবার আয়করের আওতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: এনবিআর

গত সপ্তাহের শেষ দিকে সরকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর— এবার আয়করের আওতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে সরকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর— এবার আয়করের আওতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজস্ব বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানায় “ভ্যাট এর পাশাপাশি আয়করের ক্ষেত্রেও করের আওতা বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

এতে বলা হয়, “আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার ধারাবাহিকতায়— আয়কর অব্যাহতির বিধান বাতিল ও সংশোধনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যতিত অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা না গেলে— বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দিবে।”

সম্প্রতি ৪৩টি পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর বাইরে বিমান ভাড়া, সিগারেট, মেডিসিন, ডিটারজেন্ট, সাবানসহ বেশকিছু পণ্য ও সেবার করও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবশ্য এ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্স এখনো জারি হয়নি।এছাড়া ভ্যাটের আওতাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে বছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি বিক্রি হলেই উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতায় চলে আসবে। শনিবার এনবিআরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।

যার ব্যাখ্যা দিয়ে রাজস্ব কর্তৃপক্ষটি বলেছে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই। তাই সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না বা মূল্যস্ফীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল, ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে কমে যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানো না গেলে বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে। তাই রাজস্ব বাড়াতে ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে এনবিআরকে বিশেষ এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *