জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এবার বাতিল হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার সবুজ সংকেত দিলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ২ সেপ্টেম্বর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ বাতিল করে সরকার। কিন্তু জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় এবং বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠায় দুই খাতে বিনিয়োগের সুযোগ বাতিলের পথে হাঁটছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, জমি-ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে এটি বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাবের সহসভাপতি এম এ আউয়াল বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ জমি ও অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় এ খাতে প্রাণচাঞ্চল্য এসেছিল। এ সুযোগ বাতিল হলে খাতটি মুখ থুবড়ে পড়বে। টাকাও পাচার হয়ে যাবে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলে এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করার বিধান অর্থ আইন-২০২৪ সালের মাধ্যমে সংযোজন করা হয়েছে। একজন নিয়মিত করদাতাকে তার আয়ের ওপর সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। আর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রদেয় করের ওপর আরও সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। কিন্তু মাত্র ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। তাই ন্যায়নিষ্ঠ ও সমতাভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এনবিআর ১৫ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করে নগদ অর্থসহ অপ্রদর্শিত সমজাতীয় পরিসম্পদ প্রদর্শনের বিশেষ ব্যবস্থা-সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত কর হয়েছে।
এ আদেশের ফলে পুঁজিবাজার, নগদ, ব্যাংকে থাকা অর্থ, ফিন্যান্সিয়াল স্কিম অ্যান্ড ইনস্ট্রুমেন্টসহ সব ধরনের আমানতের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুবিধা বাতিল হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করতে হলে এখন প্রযোজ্য কর, যা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ দিতে হবে। ওই প্রদেয় করের ওপর জরিমানা গুনতে হবে ১০ শতাংশ।