নির্বাচনী আচরণবিধির ৬(ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করতে পারবেন না। আর আচরণবিধির ১২ ধারা অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ আগে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন জানিয়ে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, নির্বাচনের একজন প্রার্থী হিসেবে তাঁকে নির্বাচনী এলাকায় যেতেই হবে। তিনি গিয়েছিলেন। তাঁকে দেখে অনেক মানুষ এসেছিলেন। যে সাংবাদিকেরা প্রতিবেদন করেছেন, তাঁরা সরেজমিনে যাননি। তাঁরা শিরোনামে ভোট চাওয়ার কথা বললেও প্রতিবেদনের ভেতরে দোয়া চাওয়ার কথা বলেছেন। তিনি ভোট চাননি, আচরণবিধি লঙ্ঘনও করেননি। তিনি বলেন, একটি পক্ষ চাচ্ছে, মাহির নির্বাচনী এলাকায় যাওয়া বাধাগ্রস্ত হোক। নির্ধারিত দিনে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়া হবে।
নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু সেই আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
কিন্তু এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিলে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান এই চিত্রনায়িকা।