সংকোচনশীল মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ

আইএমএফের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়েও সংকোচনশীল মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ। বেঁধে দেয়া রিজার্ভ মুদ্রার সীমা প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা, বাজারে আছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার কোটি

ঋণ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে প্রান্তিক ভিত্তিতে বাংলাদেশের রিজার্ভ মুদ্রা বা মুদ্রাবাজারে থাকা তারল্যের সীমা বেঁধে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য।
ঋণ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে প্রান্তিক ভিত্তিতে বাংলাদেশের রিজার্ভ মুদ্রা বা মুদ্রাবাজারে থাকা তারল্যের সীমা বেঁধে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিক শেষে বাজারে প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল আইএমএফের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে কম। গত মার্চ শেষে আইএমএফের বেঁধে দেয়া রিজার্ভ মুদ্রার সীমা ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ সীমার তুলনায় রিজার্ভ মুদ্রা কম ছিল ৬০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। গত জুনে আইএমএফের বেঁধে দেয়া ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা সীমার বিপরীতে প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পার্থক্য ছিল ১২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ মুদ্রার পার্থক্য ছিল ৩০ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট ও বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকা ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থ তথা সিআরআরের পরিমাণই হচ্ছে রিজার্ভ মুদ্রা। চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে ২ শতাংশ। যদিও গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা প্রবৃদ্ধির ধারায় না থেকে বরং ঋণাত্মক হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা কমেছে ৪৭ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। ১৫ সেপ্টেম্বর দেশে রিজার্ভ মুদ্রা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা ছিল। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক তথা মাইনাস ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আইএমএফের সীমা অনুসারে, এ বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ কোটি এবং ডিসেম্বর শেষে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত রিজার্ভ মুদ্রা রাখার সুযোগ রয়েছে।

তারল্য সংকটে ভুগছে দেশের বেসরকারি খাত। ব্যাংকের বাইরে চলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ ও সরকারকে টাকা ছাপিয়ে দেয়ার কারণে দেশে দীর্ঘদিন ধরে জেঁকে বসেছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অর্থের প্রবাহে লাগাম টানার নীতি গ্রহণ করেছে। এতে অর্থের প্রবাহ আরো সংকুচিত হয়েছে। আইএমএফের বেঁধে দেয়া সীমার তুলনায় দেশের রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ কম আছে। ফলে সরকারের কাছে তারল্য সরবরাহ আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বহাল থাকার কারণে বর্তমানে রিজার্ভ মুদ্রা বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাছাড়া বছরের শেষদিকে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই কৌশলগত কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ কম রেখে থাকে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্তমানে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারল্য সরবরাহ আরো কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে চাইছে সরকার। এজন্য সরকারি ব্যয়ও কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে অর্থনীতিতে অর্থের জোগান আরো কমবে। এ অবস্থায় আইএমএফের সীমা অনুসারে রিজার্ভ মানি আরো বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও সেটি করা সম্ভব নয়। ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে ঋণ ও আমানতের অসামঞ্জস্যতার কারণে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পুঁজিবাজার ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আসার কথা থাকলেও দেশের বেসরকারি খাতের সিংহভাগ পুঁজির জোগান এসেছে ব্যাংক খাত থেকে। খেলাপি ঋণের কারণে বর্তমানে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সংকটে পড়তে হয়েছে।

জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অর্থনীতিতে রিজার্ভ মানি বাড়ানোর অন্যান্য প্রভাবও রয়েছে। এ মুহূর্তে আমাদের খেলাপি ঋণ আদায়ের মাধ্যমে কীভাবে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থাকা অর্থ ফিরিয়ে আনা গেলে তারল্য সরবরাহ বাড়বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ মানির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইস্যুকৃত নোটের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ব্যাংকের বাইরে থাকা বিপুল পরিমাণ এ অর্থ ব্যাংকে ফিরিয়ে আনা গেলে সহজেই তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দেশের ব্যাংক খাতের বাইরে থাকা বিপুল পরিমাণ এ অর্থ অর্থনীতিতে তেমন কোনো কাজে আসছে না। এ অর্থের বড় অংশই রয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের কাছে। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে এসব অর্থের কিছু অংশ জব্দ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গত ৫ আগস্টের পর ঝালকাঠিতে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমুর বাড়ি থেকে নগদ ৪ কোটি টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালের বাসা থেকেও ৩ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। অনেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সীমান্তে নগদ অর্থ নিয়েও ধরা পড়ছেন।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি। দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে যাওয়া শ্রীলংকা কিংবা অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে থাকা পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতিও বাংলাদেশের চেয়ে কম। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বৃদ্ধি, পণ্য আমদানি ও বাজার নজরদারির মতো ব্যবস্থাও খুব একটা কাজে আসছে না।

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নেয়া সত্ত্বেও দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকার বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি। এর বাইরে রাজস্ব নীতি, চাহিদা ও জোগানের ব্যবধান কমিয়ে আনা, পণ্যের মজুদ ঠিক রাখা, সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আমাদের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের মতো সুদের হারের প্রতি স্পর্শকাতর নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু নীতি নেয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতির মাত্রা কিছুটা কমবে। তবে এজন্য সময় লাগবে।’

দেশের নিত্যপণ্যের বাজারে এ মাত্রার ঊর্ধ্বমুখিতা এত দীর্ঘ সময় বিরাজ করতে দেখা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে কমছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও প্রকৃত আয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এ মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বহিঃস্থ বা দেশের বাইরের উপাদানগুলোকে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতি জেঁকে বসেছে মূলত অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোর কারণেই।

উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসার প্রবৃদ্ধি শ্লথ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদহারের ভারিত গড় ছিল ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদহার এখন ১৪-১৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকছে। আবার সংকটে থাকায় গ্রাহকের টাকা দিতে পারছে না কয়েকটি ব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না। সব মিলিয়ে বেসরকারি খাতে প্রকট হয়ে উঠেছে তারল্য সংকট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ ছিল ১৬ লাখ ৪১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আগস্ট শেষে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৭০২ কোটি টাকায়। এ হিসাবে এক মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি খাতের উৎপাদনকে চাপে রেখেছে জ্বালানি সংকট। এ চাপকে আরো বাড়িয়ে তোলে সাম্প্রতিক শ্রম অসন্তোষ। আবার ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক অস্থিরতারও ভুক্তভোগী বেসরকারি খাত। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোই ভুগছে সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট মোকাবেলার বড় একটি উপায় হলো ব্যাংক ঋণ। কিন্তু ব্যাংকে উচ্চ সুদহার ও তারল্য সংকটের কারণে সেটি পাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেসরকারি খাত তীব্র তারল্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে বেসরকারি খাত। ফলে এ খাতটি তারল্য সংকটে ভুগলে ব্যবসা সম্প্রসারণ হবে না এবং এতে নতুন করে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের শেষের দিকে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ে। এ কারণে বছরের অন্য সময় আইএমএফের বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ সীমার থেকে রিজার্ভ মুদ্রার প্রকৃত পরিমাণ কম রাখা হয়। দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত দুই অর্থবছর থেকেই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছে। চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হলেও বিরাজমান বাস্তবতায় এটি ঋণাত্মক ধারায়ই রাখা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। এজন্য আমরা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ধারা অব্যাহত রেখেছি। নানা কারণে দেশে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। এ অর্থ যাতে ব্যাংকে ফেরত আসে, সেজন্য আমানতের সুদহার বাড়ানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ কমে এলে ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট কমবে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে।’

ড. হাবিবুর রহমান জানান, ‘কিছু ব্যাংকে তারল্য সংকট থাকলেও কিছু ব্যাংকে তারল্য উদ্বৃত্ত আছে। এজন্যই উদ্বৃত্ত থাকা ব্যাংকগুলো থেকে সংকটে থাকা ব্যাংককে টাকা ধার দেয়া হচ্ছে। সরকার বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির বিপরীতে বিশেষ বন্ড ইস্যু করছে। ইস্যুকৃত বিশেষ বন্ডের সমপরিমাণ অর্থ বাজার থেকে তুলে নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য বাজারে অর্থের সরবরাহ কমিয়ে এনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।’

Source: বণিক বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *